কিভাবে ফেসবুক কপিরাইট ক্লেইম করবে?

কপিরাইট কি?

ভিসুয়্যাল, অডিও, লিটারেরি- এই জিনিসগুলাকে অ্যাকচুয়ালি কপিরাইট বলে। আর যখন আমরা ট্রেড মার্কের কথা বলি, তখন নরমালি বলা হয় যে লোগো/স্লোগান/ব্রান্ড নেম-এগুলো ট্রেড মার্কের মধ্যে পড়ে।

ধরেন আপনি যদি আজকে একটা ডোমেইন কেনেন (অ্যামাজন অফার.কম), কিন্তু আপনি দেখবেন যে ১/২ সপ্তাহ/৩মাস পরে আপনি ফ্ল্যাট খেয়ে গেছেন।

ফ্ল্যাট কে দেয়?

ধরেন অ্যামাজন যে নাম, সেই নামটাকে তারা ট্রেড মার্ক করে ফেলে। যেমন ধরেন গুগল, আপনি কখনো যদি গুগলের ডোমেইন কেনেন তখন দেখবেন এই প্রব্লেমটা ফেইস করছেন। আর যদি ফেসবুক দিয়ে ডোমেইন কেনেন এরকম প্রব্লেম ফেইস করবেন। সেই জিনিসগুলো তখন চলে আসে ট্রেড মার্কের আন্ডারে।

কপিরাইটের কিছু বিষয় আছে ধরেন-রাইটিং, ইমেজ, ভিডিও- এই জিনিসগুলো কপিরাইটের আন্ডারে পড়ে। আপনি যদি কখনো কোনো পেইজ থেকে কোনো টাইপের কন্টেন্ট কপি করে নিয়ে আসেন, যদি সেটা বড় কোনো কন্টেন্ট হয় সেটা তখন কপিরাইট হয়ে যাবে। এমনো হতে পারে যে আপনি ডিজাইনার দিয়ে সব করে নিচ্ছেন কিন্তু অন্য পেইজ আপনারটা কপি করে নিচ্ছে।

এখন এটার প্রোটেকশনের ওয়েটা কি?

যদি কখনো ম্যানুয়াল কপিরাইটের অ্যাকশন নিতে হয়, এমনো হতে পারে আপনার পেইজ থেকে একটা ইমেজ কেউ কপি করে নিল, তখন আপনি সেটা টেক-ডাউন দিতে পারবেন। টেক-ডাউন মানে হচ্ছে ঐ পেইজ, যে পেইজ আপনার কন্টেন্ট কপি করছে, তাকে ডাউন করে দিতে পারবেন। তো ফেসবুক কি করে নরমালি- ফেসবুক ঐ কন্টেন্ট ডাউন করে দেয়, ঐ পেইজ ওনারকে ২বার সময় দেয় যে ১ম বার করছে ঠিক আছে কিন্তু ২য় বার করলে পেইজ রিমুভ করে দিবে। নরমালি পেইজ রিমুভ হয়না, যে প্রোফাইলটা থাকে সেটা রিমুভ হয়ে যায়। যখন কোনো কপিরাইট ক্লেইম আসে, সেটা স্ট্রাইকে রুপান্তরিত হয়। আপনি কমপ্লেইন্ট করার পর ফেসবুক ২-৩দিন সময় নিবে, ঐ সময়ের মধ্যে ফেসবুক কপি করা কন্টেন্ট রিমুভ তো করবেই সেই সাথে পেইজ ওনারকে স্ট্রাইক দিয়ে দিবে এবং উনি যদি ২য় বার এটা আবার করে তাহলে তার প্রোফাইল সাসপেন্ড হয়ে যাবে। বিজনেস পেইজ নরমালি সাসপেন্ড হয়না। কিন্তু পেইজের যে এডমিন থাকে তারা সাসপেন্ড খায়।

একটা কথা মনে রাখবেন, একটা পেইজের এডমিন একা কখনো হবেন না, কারণ একটা প্রোফাইল যদি সাসপেন্ড হয়, তখন আপনার বিজনেস অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে, আপনার পেইজের অ্যাক্সেস হারায়ে ফেলবেন। এজন্য আপনি যখন কোনো পেইজের এডমিনশিপ নিবেন, আপনার ফ্রেন্ডস/ ফ্যামিলির মধ্যে আরো ২,৩জনকে এডমিনশিপ দেওয়ার। কারণ কপিরাইট ক্লেইম অনেক সময় ভুলবশত চলে আসে। আর ভুলবশত চলে আসলেও অনেক সময় প্রোফাইল রিকাভার করা কঠিন হতে পড়ে। ফেসবুকের কাছে রিকোয়েস্ট গেলেও তারা খুব দ্রুত সমাধান দিতে পারে না। এজন্য মাল্টিপল এডমিন থাকাটা বেটার।

আরেকটা বিষয়  দেখবেন, কখনো কোনো ব্যক্তির গান তার ভিডিওতে ছিল, সেই ভিডিওটা আপ্লোড করছেন, কিন্তু ভিডিওটা অটোমেটিক ডিলেট হয়ে গেছে/ফেসবুক আপনাকে নোটিফিকেশন দিবে যে আপ্লোড দেয়া ভিডিও টা অন্য কারো হওয়ায় এটা ব্লক করে দেয়া হয়েছে, তখন আপনাকে সেটা এক্সেপ্ট করতে হবে।

এখন কথা হচ্ছে ফেসবুক কিভাবে ওনারের থ্রুতে আরেকজনকে ক্যাপচার করে ফেলছে?

ফেসবুক কপিরাইট ম্যানেজ করার জন্য একটা টুল দিছে যেটাকে বলা হয় রাইটস ম্যনেজার। আর এটা সবার জন্য না, শুধুমাত্র ভিডিও ক্রিয়েটর যারা তাদের জন্য। আসলে ভিডিও ক্রিয়েটর কারা? ধরেন চ্যানেল আই-এদের প্রচুর কন্টেন্ট, এরা জানে এদের কন্টেন্টগুলো প্রতিনিয়ত মানুষ চুরি করতেছে, তাদের ফেসবুক পেইজে শেয়ার করতেছে এবং ওখান থেকে আর্নিং করার চেষ্টা করতেছে-এমন আরো বড় বড় টিভি চ্যানেল যারা, তো তারা এই রাইটস ম্যানেজারে অ্যাক্সেস পায়। সেখানে তাদেরকে এপ্লাই করতে হয়। এপ্লাই করলে ড্যাশবোর্ড থেকে তারা কন্টেন্টগুলো ম্যানেজ করে। ধরেন আজকে যদি ১০০ কন্টেন্ট বের হয়, কন্টেন্টগুলো রাইটস ম্যানেজারে আপলোড করে রাখে তারা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *