ফেসবুক এডস অডিয়েন্স টার্গেটিং

আমরা অডিয়েন্স বলতে কি বুঝি?

ফেসবুকের সেটআপের জন্য ফেসবুকের ভাষামতে, অডিয়েন্স ৩ ধরনের। কোর অডিয়েন্স, কাস্টোম অডিয়েন্স, লুকেলাইক অডিয়েন্স।

কোর অডিয়েন্সঃ-

                        কোর অডিয়েন্স বলতে মূলত ম্যানুয়ালি সেটিংসটাকেই বোঝায়। আমরা যখন কোনো অডিয়েন্স কাস্টমাইজ সিলেক্ট করে দিবো, নিজের মতো করে ম্যানুয়ালি সেটআপ করবো সেটাকেই বলবো কোর অডিয়েন্স।

কাস্টোম অডিয়েন্সঃ-

                             ঐ সমস্ত ব্যক্তি যারা কার্ট পেজে আসছে কিন্তু চেক আউট করে নি তাদেরকে টার্গেট করতে চাই। যদি তাদেরকে টার্গেট করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে কাস্টোম অডিয়েন্স সিলেক্ট করতে হবে। তার মানে এদের ডাটা আমার কাছে অলরেডি আছে। আর কাস্টোম অডিয়েন্স সিলেকশনের জন্য আমাদের কি লাগবে? অবশ্যই পিক্সেল লাগবে। ফেসবুক পিক্সেল ট্র্যাকিং কোড আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে লাগবে। তাছাড়া ট্র্যাক করা সম্ভব না। এটা ফেসবুক পিক্সেল ছাড়াও হয়, শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের ট্রাফিক না কাস্টোম পিক্সেল বা মাল্টিপল ওয়েতেও হয়।

কাস্টোম অডিয়েন্স কোথায় ক্রিয়েট করতে হয়?

আমরা যদি বিজনেস সেটিংস বাটনে ক্লিক করি, একটু স্ক্রোল করে নিচে গেলে দেখব অডিয়েন্স নামের একটা ট্যাব আছে, ঐ অডিয়েন্স বাটনে ক্লিক করবো। অডিয়েন্সের মধ্যে আপনার মাল্টিপল ডাটা চলে আসবে। তারপর ক্রিয়েট অডিয়েন্সে গিয়ে কাস্টোম অডিয়েন্স সিলেক্ট করে নেই। আর একটা কথা না বললেই নয়, কনভারশন campaign-এর ক্ষেত্রে আমরা কাস্টোম অডিয়েন্সটাই সবথেকে বেশী ইউজ করে থাকি।

লুকেলাইক অডিয়েন্সঃ-

                                লুকেলাইক অডিয়েন্সকে সহজ ভাষায় যদি বলি তাহলে সেটা হলো সিমিলার অডিয়েন্স। ধরেন, আপনার ২জন ক্লায়েন্ট আছে, ২ জনেরই ই-কমার্স বিজনেস।তো আপনি কি করতে পারেন? একটা ক্লায়েন্টের কাজ আপনি অনেকদিন ধরে করতেছেন এবং ভালো পারফর্ম কতেছেন, আরেকটা নতুন ক্লায়েন্ট পেয়েছেন সিমিলার ব্রান্ড, সিমিলার প্রোডাক্ট, একি কান্ট্রি হতে পারে, আবার একি সিটি হতে পারে, আবার ডিফারেন্টও হতে পারে। এটা কোনো বিষয় না। কিন্তু সিমিলার টাইপের বিজনেস। আপনি কি করতে পারেন? সেটা হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের যে কাস্টোম অডিয়েন্স তাদেরকে টার্গেট করে সিমিলার অডিয়েন্স ক্রিয়েট করতে পারেন অন্য ক্লায়েন্টের জন্য। আমি যে এই সিমিলার অডিয়ান্স ক্রিয়েট করতেছি, এটাকেই বলা হচ্ছে লুকেলাইক অডিয়েন্স।

তার মানে এটা একটা ওয়ে। আরো ওয়ে হতে পারে, যেমন ধরেন আমি কফিমেকার নিয়েই কাজ করতেছি, কিন্তু এখানে কফিমেকারটা একটা ইলেক্ট্রনিক গুডস, একটা হোম এপ্লায়েন্স গুডস। তো আমার অন্য কোনো campaign চলে, যেটা আমি ইলেক্ট্রনিকস নিয়ে কাজ করি। ঐ campaign-এর অডিয়েন্সকে আমি লুকেলাইক বানায়ে কফিমেকারের campaign ছাড়তে পারি। তার মানে কি দাড়ালো- যারা ইলেট্রনিক্স গুডসের প্রতি ইন্টারেস্ট রাখে। তারা কফিমেকারের প্রতিও ইন্টারেস্ট রাখতে পারে। অথবা যে সমস্ত ব্যক্তি কিচেন এপ্লায়েন্স/হোম এপ্লায়েন্সের প্রতি ইন্টারেস্ট রাখে অলরেডি, তাদের মধ্যে কফিমেকার ব্যাপারটা চলে আসতেই পারে। আমি অডিয়েন্সটাকে সিমিলার করলাম। ঐ যে সিমিলার অডিয়েন্স দিয়ে আমি আমার ওয়েবসাইটে এড ছাড়লাম। এই পুরো প্রসেসটাকে বলে লুকেলাইক অডিয়েন্স।

লুকেলাইক অডিয়েন্স কিভাবে ক্রিয়েট করে?

লুকেলাইক অডিয়েন্স আপনি মাল্টিপল অডিয়েন্স থেকেই তৈরী করতে পারবেন। লুকেলাইক অডিয়েন্সএ যদি যাই এখানে সিলেক্টেড অডিয়েন্স-আপনি যদি চান আপনার এক্সিস্টিং অডিয়েন্স আছে, তাদের থেকেই তৈরী করতে পারবেন। তারপর অনয কোনো সোর্স যদি থাকে, তাহলে অন্যান্য পেজগুলো চলে আসে। ধরেন আমি একটা পেজকে টার্গেট করে আমি এড দিবো, তো আমি ঐ পেজটাকেই সিলেক্ট করতে পারবো। আবার যদি চান তাহলে ক্রিয়েট নিউ থেকেও করতে পারেন। এখন আমি অডিয়েন্সের নাম দিয়ে দিবো, লোকেশন সিলেক্ট করে দিবো, তারপর আমি কি পরিমাণ ডাটা নিবো এটা আমার উপর ডিপেন্ড করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *