এড দেয়ার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম লাগে আমরা জানি, সাধারণত কম-বেশী সবারই পেজ থাকে এবং আমরা যখন পেজে ভিসিট করি, তখন সেই পেজের নিচে–boost this post-এই টাইপের অপশন চলে আসে। যেকোনো পোস্ট করলেই এই অপশনটা চলে আসে। ওই অপশন যেটা আসে আসলে সেটা ফেসবুক নরমাল ইউজারদের জন্য ব্যাপারটা অনেক সহজ করে রেখেছে।
ধরেন আপনি কোনো এড ম্যানেজার বোঝেন না, আপনি কোনো সেটিংস বোঝেন না, কোনো টুল বোঝেন না, কিন্তু আপনার পেজ আছে, আপনি পোস্ট ক্রিয়েট করেন এবং সে সাথে আপনি চাইলে 1 to 2 ক্লিকের মধ্যেই আপনি এড সেটআপ দিতে পারেন। যেমন আমরা যখন কোনো পোস্ট দেখি, পোস্টের নিচে boost post-নামে একটি অপশন পাচ্ছেন। এটাতে যদি ক্লিক করি তাহলে ফেসবুক আমাদেরকে একটা সেটিংস অপশন দিবে। সেটিংস-এ আমি কোনো বাটন দিবো কিনা, তারপর এটার এস গ্রুপ কি কি হবে, এখানে মাল্টিপল অপশন আমাদেরকে সেটআপ করতে দিবে। সেটআপ করার পর একটা পেমেন্ট ম্যাথড এড করে দিবো। তারপর এটা বুস্ট হয়ে যাবে।
তো এটা হচ্ছে নরমাল পিপলদের জন্য যারা অ্যাাকচুয়ালি প্ল্যাটফর্ম বোঝে না, টুল বোঝে না, সফটওয়্যার বোঝে না, ফেসবুকের বিজনেস মডেল বোঝে না- এটা হলো তাদের জন্য। আমরা এই মডেলে যাবো না কারণ এটা একেবারে নিউ বি-ফ্রেন্ডলি, এই মডেলে কস্টিং বেশী, এই মডেলের টার্গেট ভালো হয়না এমনকি দিনশেষে রেজাল্টটা এনালাইসিস করা যায় না। যেহেতু, ফেসবুক এড, এটা একটা মিডিয়া-বাইয়িং। যখন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এড দিচ্ছি অথবা সার্চ-ইঞ্জিনের মাধ্যমে এড দিচ্ছি, এই প্রসেসটাকেই বলা হচ্ছে মিডিয়া-বাইয়িং। প্রত্যেকটা ফেসবুকের ডিফল্ট অ্যাকাউন্ট থেকে একটা এড ম্যানেজার থাকে, আপনারা চাইলে এই মডেল থেকেও এড দিতে পারেন। পোস্টের নিচে বুস্ট অপশন থেকেও দিতে পারেন অথবা পেজ লাইকের অপশনে গেলে দেখবেন page like campaign-করতে বলবে, এরকম মাল্টিপল অপশন আপনাকে দিবে কিন্তু আমরা সবগুলো অপশন যদি এক্সপ্লোর করতে চাই যে ফেসবুকে আর কি কি অপশন আছে, তাহলে আপনাকে যেতে হবে facebook.com/ads/manager-এ। এটা হচ্ছে একটা ডিফল্ট এড অ্যাকাউন্ট এবং আমরা এটি পাই প্রত্যেকটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। তো এই প্ল্যাটফর্মে আমরা এড ক্রিয়েট করতে পারি।
তো একটা অ্যাকাউন্ট থেকে মাল্টিপল বিজনেস অ্যাকাউন্ট অপেন করা যায়। একটা বিজনেস অ্যাকাউন্ট করা যাক যেখানে মাল্টিপল ক্লায়েন্ট ম্যানেজ করবো, মাল্টিপল পেজ ম্যানেজ করবো, মাল্টিপল ইমপ্লয়ি ম্যানেজ করবো।
(১) প্রথমেই create account– অপশনে ক্লিক করবো।
(২) তারপর business name-দিবো (বিজনেসের নামটা আপনার নামে হতে পারে,এছাড়া যেকোনো কিছুর নামও দিতে পারেন ), তারপর নিজের নাম এবং বিজনেস ই-মেইল(কর্পোরেট/ ইনফো/কন্টেক্ট) দিতে হবে।
(৩) next-অপশনে ক্লিক করতে হবে।
(৪) তারপর বিজনেসের ডিটেইলস অ্যাড করতে বলবে।
(৫) submit-বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর confirm-করে দিতে হবে।
এভাবে বিজনেস অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট হয়ে যাবে।
বিজনেস অ্যাকাউন্ট আর পারসোনাল অ্যাকাউন্টের পার্থক্য-
পারসোনাল এড অ্যাকাউন্ট যেটা ইউজ করা হয় সেটা শুধুমাত্র পারসোনাল কাজেই ইউজ করা হয়। পারসোনাল কাজ বলতে এখানে আপনি ক্লায়েন্ট –টু ম্যানেজ করতে পারবেন, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়। যেমন আপনি অন্য কাউকে এখানে ইমপ্লয়ি নিয়োগ করতে চান, তাহলে সেটা আপনি পারবেন না। অথবা বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করতে গেলেও সমস্যাগুলো হয়। পারসোনাল অ্যাকাউন্ট মানে এখানে পারসোনাল অ্যাকাউন্টই, এখানে ক্লায়েন্টের কাজ করা অনেকটা ঝামেলার। কিন্তু আপনি যদি বিজনেস অ্যাকাউন্ট করেন তাহলে আপনি যত ইচ্ছা তত ক্লায়েন্টের কাজ করতে পারবেন, পেজ অ্যাড করতে পারবেন, রির্পোটিং সেটআপ করতে পারবেন, মাল্টিপল এড অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন। এখানে মাল্টিপল অপশন আছে যেটা অ্যাকচুয়ালি সহজ বিজনেস অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে। এজন্য বেশিরভাগ বিজনেস অ্যাকাউন্টই করা হয়।
বিজনেস অ্যাকাউন্টের সেটআপ-
- পিপল অ্যাড করতে হবে- এর জন্য যেতে হবে বিজনেস সেটিংসে। আমি যদি চাই এখানে অন্য কাউকে অ্যাড করতে পারি। এখানে পিপল রোল বেসিক্যালি ২ রকমের হয়-এডমিন পাওয়ার আর একটা ইমপ্লয়ি পাওয়ার। এডমিন পাওয়ার বলতে বোঝানো হয়েছে, আপনার যে পাওয়ার, সেটা আরেকজনকে দিলে ঠিক একই থাকবে। আর ইমপ্লয়ি পাওয়ার হলো লিমিটেড পাওয়ার, যে পোস্ট ক্রিয়েট করতে পারবে পেজের মধ্যে, এড ক্রিয়েট করতে পারবে, রির্পোটিং করতে পারবে, কিন্তু কখনো এডমিনকে পেজ থেকে বের করে দিতে পারবে না। সুতরাং, আমরা যখন কাউকে অ্যাড করি বিজনেস অ্যাকাউন্টে, তখন আমরা ইমপ্লয়ি হিসেবে অ্যাড করি। এখন আমরা যদি পিপল অপশনটাতে ক্লিক করে অ্যাডে ক্লিক করি তাহলে ২টা অপশন দেখাবে। কাউকে যদি এক্সেস দিই তাহলে তার ই-মেইলে একটা নোটিফিকেশন যাবে, সেখান থেকে সে ড্যাশবোর্ডে এক্সেস করতে পারবে।
- পেজ অ্যাড করতে হবে- পেজে যদি এক্সেস না দেয়া যায়, তখন আগে থেকে ক্রিয়েট করা পেজটাকে ড্যাশবোর্ডে আনতে হবে। অ্যাড অপশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করলেই এখানে ৩টা অপশন দিবে। add page-এর মানে আমার ফেসবুক প্রোফাইলে আগে থেকেই পেজ আছে, সেই পেজগুলোকে বিজনেস অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসা।এটাই এখানে বুঝিয়েছে। request access to page-মানে আমি আমার ক্লায়েন্টের কাছে রিকোয়েস্ট পাঠাবো। ধরেন আপনার পেজ আছে, আমি আপনার কাজ করে দিবো,আপনার ব্রান্ড পেজে আমি এড দিবো, তাহলে আমি এখান থেকে আপনার কাছে রিকোয়েস্ট পাঠাবো যা একসেপ্ট করলে ঐ পেজটা আমার বিজনেস অ্যাকাউন্টে আসবে। আর পেজ যদি না থে তাহলে create new page. যেহেতু আমাদের পেজ আছে, আমরা add page-এ ক্লিক করবো। এখানে কোন পেজ অ্যাড করবো, সেই পেজের নাম দিতে হবে। পেজ অ্যাড হয়ে যাওয়ার পর request pending-দেখাচ্ছে, এর কারণ হলো-পেজটির ওনারশিপ আমার সাথে আরোও অন্যরাও আছে। তাই যখন মাল্টিপল প্রোফাইল হয়, তখন পেজে একটা রিকোয়েস্ট যায় এক্সেস পাওয়ার জন্য। তখন পেজের সেটিংস-এ গিয়ে এডমিন সেকশন থেকে এপ্রুভ করে দিবো।
- অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে- এড অ্যাকাউন্ট হচ্ছে যেখানে এড দেয়া হয়। তো এড অ্যাকাউন্টের মাল্টিপল নাম হয়। অ্যাড অপশনে ক্লিক করলে আগের মতো আবার ৩টা অপশন দিবে। প্রথমেই add an ad account-এ ক্লিক করবো, তারপর এড অ্যাকাউন্টের যে আইডিটা দিবো। এটা একটা ম্যাথড। অনেক সময় এমন হতে পারে যে আপনি অনেক ভালো এড পারেন কিন্তু ক্লায়েন্টের এড অ্যাকাউন্ট আছে অথবা ইন্ট্রা কোম্পানির মধ্যেই মাল্টি ইমপ্লয়ি আছে, তাদেরকে এক্সেস দিবেন অথবা অন্য ক্লায়েন্টের কাছ থেকে এড অ্যাকাউন্ট এক্সেস নিবেন সেটাও হতে পারে, তো সেটার জন্য এই অপশনটা request access to ad account. আর একটা অপশন হচ্ছে create a new ad account-অ্যাকাউন্ট না থাকলে এটাতে গিয়ে ক্রিয়েট করতে হবে। গেলে দেখা যাবে, অ্যাকাউন্টের নাম চাবে, তারপর টাইমজনটা দিয়ে দিতে হবে, এরপর পেমেন্ট ম্যাথড US dollar-এ হবে কারণ BDT কার্ড এখনো এক্সেপ্টেবল না। next-এ ক্লিক করতে হবে এবং my business– অপশনে ক্লিক করলেই ক্রিয়েট হয়ে যাবে।
- পেমেন্ট ম্যাথড- পেমেন্ট ম্যাথডটা আপনি চাইলে বিজনেস অ্যাকাউন্টে অ্যাড করে দিতে পারেন অথবা ইন্ডিভিজুয়াল এড অ্যাকাউন্টে দিতে পারেন। ad accounts-এ গিয়ে open in ad manager-এ ক্লিক করলে দেখা যাবে, একটা বিলিং অপশন দিচ্ছে। এরপর পেমেন্ট সেটিংসে গিয়ে আমি পেমেন্ট অ্যাড করে দিবো। পেমেন্টটা মূলত ডলারে হবে। এছাড়াও যদি আমরা পেমেন্টস এ যাই, গেলে দেখা যাবে, ওখানে একটাই অপশন দিবে সেটা হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড। তো এভাবেই পেমেন্ট করতে হবে।