অডিনেন্স টার্গেটিং কি ?
আল্টিমেটলি আমাদের কোনো জিনিসের টার্গেটিং। যত ভালো টার্গেটিং করতে পারবো, তত ভালোভাবে আমার এডটা সার্ভ হবে, কোয়ালিটি পিপলের কাছে যাবে এবং সেটা থেকে আমার অপ্টিমাম রেজাল্টটা আসবে। অপ্টিমাম রেজাল্ট যেকোনো কিছুই হতে পারে-পেজ লাইক হলে পেজ লাইক, ভিউ হলে ভিউ, কমেন্ট হলে কমেন্ট ইভেন সেলস হলে সেলস। এটা ডিপেন্ড করতেছে আপনি কিভাবে কি করবেন। টার্গেটিং-এর ক্ষেত্রে লোকেশন, বয়স, জেন্ডার এবং ডিটেইল টার্গেটিং-এটাই সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট জায়গা যেখানে এডটা কাদের কাছে দিচ্ছেন তা আপনি নিজেই ডিসাইট করবেন। তো এটার কিছু রিসার্চ পার্ট/ডিটেইলস পার্ট নিয়ে যদি আমরা একটু কথা বলি।
প্রথমেই আসে টার্গেটিং। এখানে ২টা টার্ম চলে আসতেসে-একটা হচ্ছে ব্রান্ডিং আর একটা হলো কনভারশন।
তো ব্রান্ডিং মানে হচ্ছে আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে মানুষের কাছে এও্যারনেসটা বাড়ানো। এও্যারনেসের মধ্যে বেসিক্যালি আমরা ২টা গোল পাচ্ছি-একটা রিচ, আর একটা ব্রান্ড এও্যারনেস। আমরা যখন ব্রান্ডিং campaign করতে চাই, তার মানে আমার ব্রান্ড সম্পর্কে মানুষ জানবে, তা নিয়ে কথা বলবে এবং যেকোনো প্রোডাক্ট আসলে টপ অফ মাইন্ডে আমার ব্রান্ডের নাম আসবে। এখানে ব্রান্ড ভ্যালু তৈরী করতে হয়। তো আগেকার যে মিডিয়াগুলো ইউজ হতো, বিশেষ করে টিভি মিডিয়া/নিউজপেপার মিডিয়া/ডিসপ্লে মিডিয়া। এখন যেটা আমরা ইউজ করতেছি ডিজিটাল মিডিয়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, তো এখানেও ব্রান্ডিং-এর জন্য ফেসবুক ২টা অপশন রাখছে। এটা এপিএল আর বিপিএল এর মধ্যে পড়ছে না, এটা টোটালি ডিজিটাল নিয়ে আমরা কথা বলছি।
আমরা যখন কোনো ব্রান্ড নিয়ে কাজ করবো, যেটার ব্রান্ডিং হবে মানুষ আমার ব্রান্ড সম্পর্কে জানবে এবং টপ অফ মাইন্ডে আমার ব্রান্ডের নামই আসবে। যখন কোনো প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি চিন্তা করবেন, তখন ডেফিনিটলি প্রোডাক্ট এও্যারনেস এবং রিচ আসবে। তো এটার জন্য আমরা লার্জার অডিয়েন্স সিলেক্ট করবো। আমরা যখন ব্রান্ডিং campaign করবো, আমরা ডেফিনিটলি লার্জার অডিয়েন্স সিলেক্ট করবো। লার্জার অডিয়েন্স কিভাবে কনফার্ম করতেছি? এটা আপনি ২ভাবে করতে পারেন-যদি মনে হয় আম্পনার কাছে হিউজ পরিমানে বাজেট আছে, যদি একটা কর্পোরেট কোম্পানির কথাই ধরি,তো আপনার কাছে যখন অনেক বেশী বাজেট থাকবে, আপনি ডেফিনিটলি চাবেন যেন অনেক মানুষের কাছে আমার এডটা যায়।
সেক্ষেত্রে আপনি এটা ওপেন ছাড়তে পারেন। ওপেন বলতে কি বুঝাচ্ছি? ওপেন বলতে আমি এখানে বুঝাচ্ছি, শুধুমাত্র বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিলাম, কিন্তু এখানে আমরা বয়সটা সিলেক্ট করবোনা, কারণ আমার এডটা যত বেশী এক্সপস পাবে, তত আমার জন্য লাভ। সুতরাং, আমার রিচের টার্গেটটাই হচ্ছে-আমি যত বেশী টার্গেট করবো। ইভেন আমরা টার্গেটিং-এরও এখানে কোনো অপশন দিবো না। জাস্ট এসইউজুয়াল এডটাকে কন্টিনিউ করবো। এটা এক ধরনের টার্গেটিং হতে পারে। আবার, এমন হতে পারে, ধরেন আপনার একটা ব্রান্ড আসছে-আপনি একটা রেস্টুরেন্ট বিজনেস করবেন/ক্লায়েন্ট আসছে এবং যারা ফুডি তাদের কাছে আমার এডটা যাবে। সব মানুষ কিন্তু রেস্টুরেন্টে যায়না/ফুড ডেলিভারি দেয়না, তাদের কাছে এড যাওয়ার দরকার নেই, সেক্ষেত্রে লার্জার অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারি আমরা। এক্ষেত্রে আমার টার্গেটিংগুলো শুধুমাত্র ইন্টারেস্ট টার্গেটিং করতে পারি। ফুডি, ফুড লাভার-এই টার্মগুলো চলে আসতে পারে। সুতরাং যখন কন্সেপ্টটা আসবে ব্রান্ডিং, তখন আমরা লার্জার অডিয়েন্স নিয়ে কাজ করবো। লার্জার অডিয়েন্স-এর কোনো ডেফিনেশন নেই। এটা আপনার কল-আপনার কাছে কি পরিমান বাজেট আছে, কি পরিমাণ অডিয়েন্সের কাছে আপনি রিচ করতে চান-তার উপর ডিপেন্ড করবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কত হলে লার্জার অডিয়েন্স ধরা হয়? তো ১মিলিয়ন হলেও লার্জার অডিয়েন্স আবার ৩০ মিলিয়ন হলেও লার্জার অডিয়েন্স হয়ে পারে। এটা অ্যাকচুয়ালি আপনার কল, আপনার বাজেটের উপর ডিপেন্ড করবে।
আর যদি কনভারশন হয় যে, আমি একটা অনলাইন থেকে প্রোডাক্ট সেল করবো, অনলাইনে আমার একটা ওয়েবসাইট আছে, যেমন একটা ফার্নেল আছে-সেই ফার্নেল থেকে একজন ব্যক্তি আমার এডের মাধ্যমে আমার ওয়েবসাইটে আসবে। ওয়েবসাইটের প্রোডাক্টের অ্যাড টু কার্ট- এ ক্লিক করবে, সেখান থেকে সে পেমেন্ট ইনফরমেশন দিয়ে থ্যাঙ্কিউ পেজে প্রোডাক্টটা কিনে ফেলবে। এইযে প্রসেসটা-এর মাধ্যমে কনভারশন হচ্ছে।
এখন কনভারশন ব্যাপারটা কিন্তু আসলে যতটা সহজভাবে চিন্তা করি, ততটা আসলে সহজ না। কারণ একজন মানুষ হঠাত করে ফেসবুকে গেছে, সেখানে একটা এড দেখলো আর সেখান থেকে প্রোডাক্ট কিনে ফেলবে ব্যাপারটা কিন্তু এরকম না। কারণ একটা অনলাইন প্রোডাক্ট কেনার আগে অনেক রিসার্চ হয়, অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম ইউজ হয়, অনেক কিছুই এখানে কাজ করে। আবার যদি ন্যারো অডিয়েন্সের কথায় আসি, ন্যারো অডিয়েন্স বলতে আমরা অডিয়েন্সটাকে যত ছোট করতে পারি, কত ছোট এটা আপনার গোলের উপর ডিপেন্ড করবে। তো বাংলাদেশের জন্য আমার মনে হয় ৫ লাখের নিচে নামা উচিত না যদি আপনি খুব বেশী টার্গেটিং করেন। এর নিচে নামলে বাংলাদেশের অডিয়েন্স খুব বেশী ইনএক্টিভ থাকে-এটা একটা প্রব্লেম। আর একটা প্রব্লেম হচ্ছে-আপনার এড সার্ভ হবে না। আবার একটা প্রব্লেম হলো বাজেট-আপনারা খুব বেশী বাজেট স্পেন্ড করবেন না। তো মিনিমাম ৫ লাখ, আপনারা যদি ইউএস campaign ছাড়েন, ৩০-৪০হাজার পিপলকেও টার্গেট করেও এড দিতে পারবেন-যেটা খুব ভালোভাবে সার্ভ হবে না।
কিভাবে টার্গেটিং করব ?
আমি ট্রেনিং সেল করবো। আমরা যখন ব্রান্ডিং করবো, যতটা ওপেন রাখা যায়/ক্যাটাগরি বেসড কি-ওয়ার্ডকে টার্গেট করা যায়, আর যদি কনভারশন রিলিভেন্ট এড হয় যে শুধুমাত্র ডিরেক্ট অনলাইন সেল করবো ডেফিনিটলি আপনি যতটা টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে এডটা পৌছাতে পারেন। কারণ আপনার আল্টিমেট গোল কিন্তু সেল, সুতরাং, আপনার কোম্পানিকে আপনাকে জবাবদিহিতা করতে হবে যে আপনি পুরো ১ মাসে ১০০০ ডলার এড চালিয়েছেন, আমার কত টাকা সেল আসছে আমি দেখি-এটা একটা জবাবদিহিতার বড় জায়গা রয়ে গেছে। এবং এটা সেলস ডেফিনিটলি আপনি যতটা ন্যারো ডাউন করতে পারবেন, টার্গেটিং যত ভালো হবে অবশ্যই আপনার সেলস এডভান্টেজ আসবে। আপনি যদি ওপেন রাখেন তাহলে কিন্তু অ্যাকচুয়ালি সেলস আসবে না। উদাহরণস্বরুপ ধরেন আপনি বার্ডে কেক সেল করতে চান,
আপনার কোনো ব্রান্ড আছে/আপনার কোনো ক্লায়েন্ট আছে যারা বার্ডে কেক সেল করেন। যেমন আপনি প্রিমিয়াম সুইটসের এজেন্সি, আপনি ওখানে কাজ করেন তো বার্ডে কেকের জন্য আপনার মাথায় প্রথমে কি আসতে পারে? প্রথমে আসতে পারে যে, যারা কেকে ইন্টারেস্ট রাখে তাদের কাছে আমার এড যাবে। কিন্তু ফেসবুক বার্ডের জন্য একটা ডিফারেন্ট অপশনই রেখে দিছে, তো এই অপশনটা আপনাদেরকে জানতে হবে। দেখবেন এড ম্যানেজারে ডেমোগ্রাফিক একটা অপশন আছে, এবং আমার এডটা তাদের কাছে চলবে, ঐ সমস্ত ফ্রেন্ড যাদের বার্ডে ৭দিনের মধ্যে তাদের কাছে এডটি যাবে। তো ফেসবুক আপনাকে ট্রেক করবে যে আপনা একটা ক্লোজ ফ্রেন্ড যার ৩০ দিনের মধ্যে বার্ডে আছে। তো বিষয়টা কতটা টার্গেটেড ওয়েতে যাচ্ছে ভাবেন। যে আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড সেটা ফেসবুক জানে, যার ৭-৩০দিনের মধ্যে বার্ডে। ডেফিনিটলি এটা খুব বেশি টার্গেটেড অডিয়েন্স হয়ে গেছে। এবং পুরো বাংলাদেশে ১৩-৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত আগামী ৩০ দিনে ৪২ লাখ মানুষের বার্ডে আছে।
উদাহরণে দেখুন
আরেকটা উদাহরণ যদি দেখি, আমি এংগেজমেন্ট রিং সেল করবো। তো এংগেজমেন্ট রিং যদি সেল করতে চাই আমি তাহলে সেক্ষেত্রে আমি সেটাকে ৪টা ভাগে ভাগ করছি। আমি যদি বেস টিজি সিলেক্ট করি তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সিটি টার্গেট করছে, তাহলে লোকেশনে বিভিন্ন সিটি ফুল বাংলাদেশ না করে বিভাগগুলোকে টার্গেট করতে পারি এবং বয়স ২৫-৪৫, কারণ এংগেজমেন্ট রিং এই রেঞ্জের মধ্যেই হবে। আর ডেফিনিটলি ইনফ্লুয়েন্সার থাকতে পারে যে ৫০ বছর বয়সের একজন রিং কিনতে পারে। কিন্তু ফেসবুকে তো তারা অতটা এক্টিভ না, তারা অতটা বুঝেও না, তবে হ্যা ফেসবুক এখন অনেকে ইউজ করতেছে, হয়তো তারা শুধু সময়টা পাস করার জন্যেই থাকে, কিন্তু বায়িং প্রসেসের কিছুই তারা বুঝবে না। সুতরাং, ২৫-৪৫ বছরটাই পারফেক্ট, আর জেন্ডার তো উভয়ই। এটাকে বেস টার্গেটিং বলা হচ্ছে।
তারপর কোরে যখন যাচ্ছি, এতে আমরা কি টার্গেট করতে পারি? আমরা লাইফ ইভেন্টস টার্গেট করতে পারি। এখন লাইফ ইভেন্টস কি যে খুব দ্রুত কেউ এংগেজ হইছে, ঐ সমস্ত পিপল(in a relationship)দেরকে টার্গেট করা যেতে পারে। এটাও হতে পারে যে আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে আগে জানলো, পরে কিনলো সেটাও হতে পারে। যেমন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এখন এড চালাচ্ছে, আপনার কাছে এডটা চলে আসলো, আপনার মাথায় চলে আসলো যে আমার যখন এংগেজম্যান্ট হবে তখন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড থেকে একটা রিং কিনবো।
আরো যদি ন্যারো ডাউন করতে চাই, তাহলে যারা স্মার্টফোন ইউজার তাদের কাছে আমার এড যাবে, এছাড়াও যারা 3G, 4G ইউজার তাদের কাছে আমার এড যাবে।
আর ডিপডাউনে তাদের কাছেই এড যাবে, যারা লাক্সারি প্রোডাক্টে ইন্টারেস্ট রাখে এবং যারা অনলাইন শপিং-এ ইন্টারেস্ট রাখে।
তো উপরের যে অডিয়েন্সগুলো দেখলাম, সেগুলো রিসার্চ করারও একটা টুল ফেসবুক দিয়ে দিছে, যেটাকে বলে অডিয়েন্স ইনসাইটস। এখান থেকে ডেটা রিসার্চ করা যায়। তবে বাংলাদেশের জন্য ব্রডলি আমি এখানে কিছু পাবো না, কিন্তু আপনার যদি ইউএস মার্কেট টার্গেট থাকে, ইউএস ক্লায়েন্টের কাজ করেন তাহলে ডেটাগুলো এখানে অনেক বেশী অ্যাকুউরেট, কারণ ফেসবুক নিজেই এখানে ডেটা দিচ্ছে। কিন্তু এই সমস্ত ডেটা এখানে এস্টিমেশন, ইকজেক্ট বলে কিন্তু কিছু নেই।
অডিয়েন্স রিসার্চ করার জন্য প্রথমেই আমরা অডিয়েন্স ইনসাইটসে যাবো। সেখানে গেলেই আমাকে ২টা অপশন দিবে। একটা হচ্ছে আপনি কি আপনার পেজে যারা কানেক্টেড তাদেরকে নিয়ে রিসার্চ করবেন নাকি ওভারঅল ফেসবুকে যাদের অডিয়েন্স তাদেরকে নিয়ে। তো ডেফিনিটলি ফেসবুকের ওভারঅল অডিয়েন্স নিয়ে রিসার্চ করবেন।